স্বদেশ ডেস্ক:
ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভে যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও ‘আগামী সপ্তাহে’ পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুলে ম্যাক্রোঁ বলেছেন
শুক্রবার তিনি সতর্ক করে দিয়ে এ কথা বলেন।
ব্রাসেলসে ইইউ’র এক শীর্ষ সম্মেলনের পর ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি বিষয়টা পুরোপুরি নাকচ করে দিচ্ছি না। তবে আজকের প্রয়োজনীয়তার সাথে এটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ এই সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত পূর্বাঞ্চলে নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। এদিকে জেলেনস্কি এই সপ্তাহে লন্ডন, প্যারিস এবং ব্রাসেলসে আরো উন্নত অস্ত্রের সন্ধানে এসেছেন।
ইউক্রেন পশ্চিমা যুদ্ধবিমান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারী ট্যাঙ্ক ক্রয়ের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তবে তাদের কামানের গোলার মতো আরো মৌলিক সরবরাহের ক্ষেত্রেও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
জানা গেছে, ব্রিটেন ইউক্রেনের পাইলটদের পশ্চিমা যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এদিকে পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া যোদ্ধাদের কাছে মিগ-২৯ পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। যা কিয়েভ ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছে এবং যুদ্ধে ব্যবহার করছে।
তবে ইউক্রেনের মিত্ররা এটা ভেবে শঙ্কিত যে, পশ্চিমাদের উন্নত যুদ্ধবিমান মোতায়েন মস্কোকে আরো উস্কে দেবে এবং ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে উন্মুক্ত সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করবে।
ম্যাক্রোঁ ও ব্রাসেলসে অন্যান্য ইইউ নেতারা জেলেনস্কিকে একজন নায়ক হিসেবে অভিনন্দন জানান এবং বিজয় না হওয়া পর্যন্ত তারা ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তারা যুদ্ধবিমান পাওয়ার জন্য জেলেনেস্কির আবেদনের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
সূত্র : বাসস/এএফপি